বিতর্কের শিরোনামে বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’৷ এই ছবি নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ৷ কেরালা স্টোরির চিত্রনাট্য নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্ক৷ বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে চলতি মাসের ৫ তারিখ মুক্তি পায় এই ছবি। ছবি মুক্তির পর থেকে দ্বিগুণ হয় বিতর্ক। সেই আঁচ পেয়েই মুক্তির চার দিনের মাথায় দেশের একমাত্র রাজ্য হিসাবে এই ছবিকে রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
অশান্তি এড়াতেই রাজ্যে এই ছবি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অথচ যে রাজ্যের (কেরালা) প্রেক্ষাপটে ধর্মান্তকরণের এই গল্প সাজানো সেই রাজ্যেও এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেরলের বাম সরকারকে একহাত নিয়ে গত ৮ই মে পশ্চিমবঙ্গে এই ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এই ছবি কেন বাংলার নিষিদ্ধ তবে কারণ জানতে চেয়ে শীর্ষ আদালতের পিটিশন দাখিল করে টিম ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই মামলার প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই রাজ্যকে নোটিস পাঠায় দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার এই মামলার শুনানির আগে শীর্ষ আদালতে নিজেদের সপক্ষে বক্তব্য রাখল রাজ্য সরকার৷
রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সুপ্রিম নোটিসের জবাবে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হল- এই ছবি পক্ষপাতদুষ্ট। ছবির চিত্রনাট্যে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে যা বিশেষ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত আনতে পারে। দাবি, ‘ঘৃণাভাষণ রয়েছে ছবি জুড়ে’৷
যদিও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। ভারতের অন্যান্য অংশে এই ছবি মুক্তি পেতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ নয় কেন? প্রশ্ন করেন,দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। পাল্টা রাজ্য সরকারের যুক্তি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব রাজ্য প্রশাসনের৷