শেষ হল জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। এদিনের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথা বলেন তিনি। এদিনের বৈঠকে দেবাশিস, অনিকেত, কিঞ্জলরা নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। সব দাবি যে মানা সম্ভব নয় তাও আজ বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের বৈঠকে ডায়মন্ড হারবার প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমি টিভিতে দেখেছি সেখানে একজনকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। এটা কি ‘থ্রেট কালচার’ নয়?” পাশাপাশি আরজি কর থেকে কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হল সেই কথাও তোলেন তিনি।
বৈঠকে অনিকেত মাহাতো বলেন, যাঁদের চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁরা ‘নটরিয়াস ক্রিমিনাল’। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন,’সরকারকে না জানিয়ে এভাবে কি কাউকে সাসপেন্ড করা যায়?’ বৈঠকে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, কলেজ কাউন্সিল তদন্ত করে তাঁদের সাসপেন্ড করেছে’। কলেজ কাউন্সিল সরকারকে না জানিয়ে এসব করতে পারে না বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সুপ্রিম কোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কোর্টে ওই মহিলা আইনজীবী দাবি করেছেন রাজ্যের হাসপাতালে তুলোও পাওয়া যায় না।এটা কি ঠিক? জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
নবান্নের তরফে ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে যে মেল করা হয়েছিল তাতে বৈঠকের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৪৫ মিনিট। কিন্তু এদিন আলোচনা শেষ হতে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। বৈঠক শেষে এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কি সিদ্ধান্ত নেই সেদিকেই নজর সকলের।