বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের ফলে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে তা কাটাতে আদালতে রিট পিটিশন জমা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আজ হাইকোর্ট আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দিল।
বুধবার ৩৮ পাতার যে রিট পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছিল সেখানে দাবি করা হয়েছিল, ছাত্ররা যে আন্দোলন করছে তার পিছনে রাজনৈতিক মদত আছে। শুধু তাই নয়, উপাচার্যের বাড়ি ঘেরাও করে জল খাবার পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সব জেনেও প্রশাসন নির্বিকার। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট আন্দোলনকারীদের নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের তিনজন পড়ুয়াকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে এদের সাসপেনশন চলাকালীন আরও তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। শুধু তাই নয় প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে বহিষ্কার করা হয়। এরই প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র ছাত্রীরা।
বিশ্বভারতীর অচলাবস্থায় অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ছাত্রদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছে পড়ুয়ারা।