মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ডে পুলিশের উপর আস্থা রাখল হাইকোর্ট। মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে একটি জনস্বার্থে মামলা দায়ের হয়। আজ মামলার শুনানির পর আদালতে নির্যাতিতার মেডিকেল রিপোর্ট কেস ডায়েরি পেশ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারক। পাশাপাশি উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। আদালতের এই রায়ে স্বভাবতই খুশি নির্যাতিতার পরিবার।
বুধবার, ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক সদস্যরা। ধর্ষণ কাণ্ডে কলকাতা থেকে ফরেনসিক আধিকারিক অভিজিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে চার প্রতিনিধি দল প্রথমে মাটিয়া আসেন। সেখান থেকে বিবেক নগর কলুতলা ঘটনাস্থলে যান ।সেখানে গিয়ে প্রায় একঘন্টা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন।
নির্যাতিতার গ্রাম নেহালপুর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলে ওই প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আগামীকাল সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ফের আবার পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে বসিরহাট পুলিশ জেলা, এমনটাই সূত্রের খবর।
আজ, আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার,প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনরা। এই ধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য। তারা এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি।
নির্যাতিতার প্রতিবেশীরা জানান, ‘যারা দোষী তারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা যাতে কঠিন শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। কিশোরী ধর্ষণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল পান্ডা সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। তারপর পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে আদালতের রায়কে সাধুবাদ জানান মাটিয়া থানার নেহালপুরের নির্যাতিতার প্রতিবেশীরা।