সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। শুক্রবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি মিথালের বেঞ্চে ডিএ মামলাটি ওঠে। এদিন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় জানান,কিছুদিনের মধ্যেই নতুন করে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হবে। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। এর আগে ২৮ এপ্রিল এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল। ওইদিনও রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মামলার কোনো নিষ্পত্তি না হওয়ায় বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চের সিদ্ধান্তে ১৪ জুলাই দিনটি ঠিক করা হয়। স্বভাবসিদ্ধ ভাবে এদিনও পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ৩১ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে। রাজ্যের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কর্মচারিদের ডিএ দিতে গেলে সরকারের অতিরিক্ত ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের দাবি, ডিএ তাঁদের অধিকার। তা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার ডিএ না দেওয়ায় আন্দোলনে নেমেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ। ধর্মতলায় শহিদ মিনারের নিচে তাঁরা অনশন আন্দোলন শুরু করেছেন। বাম-কংগ্রেস, বিজেপি-সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছে। এরমধ্যে প্রতীকী ধর্মঘটও করেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় সমাধান সূত্র বের হতে দেরি হচ্ছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।