রাজ্য লিড নিউজ

সিআইডি অথবা সিবিআই তদন্ত চাইলেন বাগুইআটির মৃত ছাত্রদের পরিবার

‘হয় সিআইডি, নইলে সিবিআই তদন্ত চাই’,বাগুইআটি ছাত্র খুন কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এমনই দাবি করলেন মৃত ২ ছাত্রের পরিবার।

প্রসঙ্গত, বাগুইআটিতে অপহরণের পরে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। নয়ানজুলিতে অভিষেক নস্কর ও অতনু দে’র মৃত দেহ দুটি পাওয়া হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও ফেরার।

এদিকে, অভিজিৎকে জেরা করে জানা গিয়েছে, অতনু নামে ওই ছাত্র সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিল একটি বাইক কেনার জন্য। কিন্তু সত্যেন্দ্র তা কেনেনি। উল্টে তার থেকে আরও টাকা দাবি করে। কিন্তু অতনু সেই টাকা দিতে রাজি হয়নি। এই থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। এরপর ২২ অগাস্ট রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কোনও একটি জায়গায়।

মঙ্গলবার মৃত দুই ছাত্রের দেহ শনাক্ত করতে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে যায় মৃতদের পরিবার। এদিন নিহত ২ ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন বাগুইআটি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী।

পুলিশের দাবি, অপহরণের পর চলন্ত গাড়িতেই ওই দুই ছাত্রকে খুন করা হয়। ২২ অগাস্ট বাগুইআটির জগত্পুর থেকে দুই ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে বাড়িতে এসএমএস পাঠায় অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।

এরপর ২৩ অগাস্ট বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ২৪ অগাস্ট নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। তার পরেও কেন পুলিশ তৎপর হয়নি, প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।