আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় আগাম সতর্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি রাখার পাশাপাশি করোনার টিকাকরণে জোর দিতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, এবার বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ক্লাব, এনজিও-দের সঙ্গে নিয়ে করোনা সচেতনতা প্রচার করার চালানো হবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দিকেও সমান নজর রাজ্য সরকারের।বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ভ্যাক্সিনেশনের পরিমান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন করোনা বিষয়ক রাজ্যের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি (OSD) প্রফেসর ডাঃ গোপাল কৃষ্ণ ঢালী।
উত্তরবঙ্গ দিয়েই এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ রাজ্যে প্রবেশ করতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলি? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন রাজ্যের করোনা বিষয়ক অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি প্রফেসর ডাঃ গোপাল কৃষ্ণ ঢালী।
দার্জিলিং, কালিম্পং সফর সেরে আজ তিনি জলপাইগুড়ি আসেন। এসে তিনি জেলাশাসকের কার্যালয়ে ডিএম, এস পি, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে কোভিড হাসপাতাল গুলির পরিকাঠামো এবং পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট সহ অন্যান্য পরিকাঠামো পরিদর্শন করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান আমাকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাই এসেছি। আজ জলপাইগুড়ি এসে বৈঠক সারলাম। এখানকার পরিস্থিতি অনেকটাই সন্তোষজনক। এই জেলায় প্রতিদিন ১১ থেকে ১২ হাজার করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। এবার টিকার পরিমান বাড়াতে হবে। আমি দৈনিক ২০,০০০ টিকার পরামর্শ দিয়ে গেলাম। তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে জলদি ভ্যাক্সিনেশন বাড়াতে হবে।