রাজ্য

বিশ্বকর্মা পূজোয় উলট পুরাণ, গুরুমারা জাতীয় উদ্যানে পুজো হোল তাঁর বাহনের

শুক্রবার ছিল বিশ্বকর্মা পূজো। সারা রাজ্যেই ধুমধামে এদিন বিশ্বকর্মা পুজো হয়েছে। তবে উলট পুরাণ দেখা গেল উত্তরবঙ্গের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। সেখানে বিশ্বকর্মা ঠাকুর নয় উলটে তাঁর বাহন হাতির পুজোয় মাতলেন বনবস্তির বাসিন্দারা। আর এই বিরল দৃশ্য উপভোগ করলেন গরুমারা জঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকরাও।

৩ মাস বন্ধ থাকার পর খুলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত বনাঞ্চল। শুরু হয়েছে অল্প বিস্তর পর্যটিক আসা। এরই মাঝে শুক্রবার দুপুরে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ধূপঝোড়া বিট এলাকার এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে হাতি পূজোর আয়োজন করেছিল বনবস্তির বাসিন্দারা। তাদের সাথে হাতেহাতে মিলিয়ে হাতি পুজোয় মাতলেন পর্যটকেরা।

এদিন হাতি পূজো হবে শুনতে পেরে সকাল থেকে উপোস করে থাকেন বেশ কিছু পর্যটক। পরে পূজো দিয়ে হাতিকে খাইয়ে তারপর তারা প্রসাদ খান। এদিন হিলারি, ভোলানাথ, বসন্ত, ফাল্গুনি, ডায়না বর্ষন এই ছয়টা কুনকি হাতিকে এদিন পুজো করা হয়। পাশাপাশি গরুমারা পিলখানাতেও কুনকি হাতির পুজো হয় বলে জানা গেছে।

হাতি পুজো উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সকাল হাতিদের স্থানীয় মূর্তি নদিতে নিয়ে গিয়ে ঘসে মেজে স্নান করানো হয়। এরপর তাদের রঙ বেরঙের চক দিয়ে সাজানো হয়। প্রতিটি হাতির গায়ে নাম লিখে দেওয়া হয়।এরপর তাদের নিয়ে আসা হয় পুজো মন্ডপে। এরপর শঙ্খ ধ্বনি ও উলুধ্বনি বেজে উঠবার পর মন্ত্র উচ্চারন করে পূজো শুরু করেন পুরোহিত।

পুজো শেষ হলেই হাতিদের ভালমন্দ খাওয়ান হয়। পর্যয়কেরাও কলা, আপেল সহ অনান্য ফলমুল হাতিদের নিজের হাতে খাইয়ে দেন। শেষে গ্রামবাসি ও পর্যটকেরা বসে একসাথে ভুড়ি ভোজন করে।

সব মিলিয়ে ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন হাতি পুজোতেই মেতে ওঠে।