পেরিয়ে গিয়েছে দশ দশটা দিন। তবুও তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকাজ শেষ হয় নি। জমছে লাশের পাহাড়। সেই ধ্বংস স্তুপ থেকে কোথাও মিলেছে প্রাণের সন্ধান তো আবার কোথাও নিষ্প্রাণ দেহ। আজকের তুরস্ক মনে করিয়ে দিচ্ছে করোনা কালের সময়ের কথা। যখন সৎকারের অভাবে জমছিল একের পর এক মৃতদেহ । এই মুহূর্তে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৭ হাজার। তাই এখন উদ্ধারকাজের পাশাপাশি আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করায় জোর দিচ্ছে এরদোগান প্রশাসন।
তুরস্কের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ভারত-সহ বিশ্বের বহু দেশ। ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে বিপুল ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে তুরস্কে পৌঁছেছে প্রথম বিমান। বায়ুসেনার বিমানে প্রথম উদ্ধারকারী দলও পা রেখেছে তুরস্কে।
সেখানে ভারতীয় সেনা, NDRF মিলিয়ে ১১০ জন প্রতিনিধির নেতৃত্বে চলছে ‘অপারেশন দোস্ত’। আর সেই কাজে রীতিমতো হিরোর ভূমিকায় রোমিও-জুলিয়েট জুটি, থুড়ি, রোমিও-জুলি। সদ্যই তারা ভেঙে পড়া সিমেন্ট-কংক্রিটের স্তূপে আটকে থেকে ৬ বছরের এক শিশুর প্রাণ বাঁচিয়ে এনেছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে এখন ভয়ংকর শীত। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই মানুষের। এইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষগুলির কাছে পৌঁছচ্ছে না পর্যাপ্ত খাবার। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ । দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তায়িপ এর্দোয়ান।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ৭.৬ মাত্রায় কেঁপে ওঠে গুজরাটের ভুজ। ভয়াবহ ভুমিকম্পে ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। দেড় লক্ষ মানুষ আহত হন। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয় গোটা গুজরাট জুড়ে।