যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রমৃত্যুর তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। কে বা কারা তাঁর মৃত্যুতে দায়ী, তা খুঁজে বের করতে গিয়ে একের পর এক ব্যক্তির জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ আসছে তদন্তকারীদের হাতে। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তের স্বার্থে উঠে এল এক ডায়েরি।
যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে ‘রুদ্রদা’ নামে এক সিনিয়রের কথা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু কে এই রুদ্রদা? কী অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে? চিঠিতে সেসব বিস্তারিত লিখেছেন বাংলা প্রথম বর্ষের নিহত ছাত্র। যদিও ইতিমধ্যেই সেই চিঠি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেননা ওই চিঠির তারিখে গোলমাল রয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৩ জুন ‘রুদ্রদা’ নামে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলা বিভাগের ছাত্র। ‘রুদ্রদা’ বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, সেই ‘দাদা’ই বলেছিল যে হস্টেলে সিনিয়রদের কথা শুনতেই হবে। নইলে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ‘রুদ্রদা’ নেশা করত বলেও চিঠিতে লেখা হয়েছে। তা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নিহত পড়ুয়া।
ডিনকে সেই ভয়ের কথাই জানান। ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান। তবে এই চিঠি আদেও নিহত পড়ুয়া স্বপ্নদীপেরর কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের।
মৃতের বাবার দাবি, ওই চিঠি তাঁর ছেলের লেখা নয়। চিঠিতে থাকা মৃত ছাত্রের দুটি স্বাক্ষরেও অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, উদ্ধার হওয়া ডায়েরির পাতায় চিঠির প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার একাধিক সইও মিলেছে। কিন্তু চিঠির হাতের লেখা এবং সই কার? তা জানতেই পড়ুয়ার হাতের লেখা এবং সই রয়েছে, এমন বেশ কিছু খাতা, ডায়েরি এবং নথি ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাতের লেখা বিশারদকে দিয়ে সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। যদি ওই হাতের লেখা স্বপ্নদীপের হয়ে থাকে, তা হলে তাঁকে ওই চিঠি লিখতে বাধ্য করা হয়েছিল কি না, তাও ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।