ক্যান্সার একটি মারণব্যাধি। ক্যান্সার অনেক ধরনের রয়েছে। তার মধ্যে স্তন ক্যান্সার একটি। এই ক্যান্সারে নারীরা বেশি আক্রান্ত হন।
যাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি
স্তন ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস যাদের রয়েছে, যারা নিয়মিত স্কিনিং করান না, বয়স চল্লিশের বেশি, ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব শুরু হয়েছে, ঋতুস্রাব ৫৫ বছরের পরও চলতে থাকলে, প্রথম সন্তান ৩৫ বছরের পরে হলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। স্তনে অন্য কোনো রোগ হলে, বন্ধ্যত্ব ও উচ্চতা ৫ থেকে ৮ ইঞ্চি বা তারও বেশি হলেও এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
কখন দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেবে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। লক্ষণগুলো হলো-
১। বুকের মধ্যে শক্ত চাকা, স্তন ফুলে গেলে, গরম অনুভব হলে, লাল হয়ে গেলে অথবা ত্বক কালো হয়ে গেলে।
২। এছাড়া স্তনের আকার আকৃতি যদি দ্রুত পরিবর্তন হয়, স্তনের ত্বকে গর্ত ও কুঁচকে যাওয়া, নিপলে চুলকানি, র্যাশ হওয়া, ঘা হওয়া, নিপল দিয়ে রক্ত বা সাদা যেকোনো তরলজাতীয় আঠালো পদার্থ নিঃসরণ হলে ও স্তনের মধ্যে তীব্র ব্যথা হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাবেন।
প্রতিরোধের উপায়
যেকোনো রোগ নিরাময়ের চেয়ে প্রতিরোধ করা সবচেয়ে উত্তম। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই রোগ খুব সহজে প্রতিরোধ করা যায়।
১। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, প্রতিদিন ঘাম ঝরিয়ে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করা, ফল ও সবজি খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলা, ৩৫ বছরের পর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল না খাওয়া, হরমোন থেরাপি না নেয়া, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো।
২। এছাড়া টেমক্সিফেন অথবা রেলক্সিফেন ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন না করা।