চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে। পাশাপাশি বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা তাঁকে ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তি ৭ জুলাই।
অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, কোচবিহারের ওই স্কুলে আর ঢুকতে পারবেন না অঙ্কিতা।
২০১৮ সালে এসএসসি-র মাধ্যমে শিক্ষিকার চাকরি পান অঙ্কিতা অধিকারী। কোচবিহারের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্র-বিজ্ঞান পড়াতেন মন্ত্রী কন্যা। গত ৪১ মাস ধরে চাকরি করেছেন তিনি। এ দিন হাইকোর্টের রায় মোতাবেক বেতনের পুরোটাই ফেরত দিতে হবে তাঁকে।
অঙ্কিতার চাকরিতে নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। চাকরি প্রার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম না থাকা সত্ত্বেও সে চাকরির পেয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা গড়ায় আদালতে। মামলাকারী ববিতা বর্মণের দাবি ছিল যে, স্টেস লেভেল সিলেকশনে তিনি ৭৭ নম্বর পেয়েও চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হননি। কিন্তু, অঙ্কিতা অধিকারী ৬১ পেয়েই চাকরি পেয়েছেন। এছাড়া, মন্ত্রী কন্যা নাকি পার্সোনালিটি টেস্টেও বসেননি।
উল্লেখ্য, বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল অঙ্কিতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা বর্মণ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এই রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।