ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন আতঙ্ক। ফের বিদেশ ফেরত আরও দু’জনের শরীরে মিলেছে করোনা ভাইরাস। কলকাতায় আসার পর তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় তাদের লালারসের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। রবিবার আরও দু’জন বিদেশ ফেরতের শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের হদিশ মিলেছিল। সোমবার সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৪। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট এলে জানা যাবে তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা!
১০ ডিসেম্বর আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন থেকে দুবাই হয়ে কলকাতায় ফিরেছেন এক মহিলা। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ফেরার দু’দিন পর তিনি করোনাক্রান্ত হন। আরেক ব্যক্তি ফিরেছেন ব্রিটেন থেকে। তিনিও করোনাক্রান্ত হয়েছেন। দুজনের নমুনাই জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট এলে জানা যাবে তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা!
ভালো খবর এই যে, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই নিম্নমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ। রবিবারের তুলনায় কমেছে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। কমেছে মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্যভবনের রিপোর্ট বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যের মধ্যে প্রথমে কলকাতা। এখানে আক্রান্ত ১৪৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা, এখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬২। তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাওড়া,এখানে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৩। এদিন রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৯০ জন। রাজ্যের সংক্রমণ হার ১.২১ শতাংশ। তবে রবিবার তুলনায় অনেকটাই কম এদিনের সংক্রমণ।
তথ্য অনুযায়ী, একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এদিন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ৬৭৬ জন। ইতিমধ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লক্ষ ৩৪০ জন।