বন্ধ হয়ে পরে আছে শতাব্দী প্রাচীন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি তথা পাঁচড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জরাজীর্ণ দশা এটির। এখন রুগির বদলে দেখামেলে গ্রামের গবাদী পশুদের। ২০২০সালে কর্মরত ডাক্তার অবসর নেওয়ার পর থেকে বন্ধ হয়ে পরে আছে এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র টি। জামালপুর ব্লকের দলুই,দাদাপুর,হাবাসপুর, মশাগ্রাম সহ দশটি গ্রামের মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। প্রায় একবছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকায় সমস্যায় পরেছে এইসব গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। এখন হঠাৎ কোন রকম চিকিৎসার প্রয়োজন পরলে রুগি নিয়ে ছুটতে হবে ৮কিলোমিটার দূরে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জেলাপ্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব এই পাঁচড়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র টি খোলার ব্যবস্থা করুক। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র টি খোলার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে ইতিমধ্যে। জানাগেছে, ১০৭বছর আগে গ্রামের
হৈমবতী নামে গ্রামের একমহিলা ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরীর উদ্দেশ্যে জায়গা টি দান করেছিলেন। তখন এটির নাম হয় হৈমবতী দাতব্য চিকিৎসালয়। পরে ১৯১৭ সালে এটি জেলাপরিষদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এটি নাম হয় পাঁচড়া চ্যারিটেবল ডিসপেনসারি। এই শতাব্দী প্রাচীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি এতো দিন চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে এলেও চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে পরে আছে। পাশাপাশি জামালপুর ব্লক তপশিলি এলাকায় হওয়ায় বহু গরীব মানুষের বাস। মাত্র ২টাকার বিনিময়ে বহু গরীব মানুষ চিকিৎসা করাতে আসতেন এখানে। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকায় সমস্যায় পরেছে তারা। এখন চিকিৎসা করাতে হলে ৮কিলোমিটার দূরে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ১২কিলোমিটার দূরে মেমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।