আইপিএস দময়ন্তী সেনের উপর আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে রাজ্যের পাঁচটি ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব পেলেন দময়ন্তী সেন। এর আগে মাটিয়া, দেগঙ্গা, ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার নজরদারির দায়িত্ব দময়ন্তীকেই দিয়েছিল আদালত। এবারের সংযোজন নামখানা ধর্ষণকাণ্ড।
এমনকী গাংনাপুর ধর্ষণ কাণ্ড এবং খুনের তদন্ত ভারও দময়ন্তীকেও দেওয়ার অনুরোধ করে নির্যাতিতার বাবা। যদিও সেই মামলার শুনানি এখনও বাকি। নামখানা গণধর্ষণের তদন্তের ভার গেল আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই তদন্ত ভার দময়ন্তী নিতে না চাইলে মামলাটি সিবিআইকে দেওয়ার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা হবে। পাশাপাশি নির্যাতিতা, তাঁর পরিবার এবং সাক্ষীদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।
গত ৮ এপ্রিল রাতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে নামখানায়। অভিযোগ, রাত ৩টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে শৌচালয়ে যাওয়ার পথে চার জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। এমনকী ধর্ষণের পর তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা।
প্রায় এক দশক আগে পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডের সময় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন দময়ন্তী। তিনিই ওই ঘটনার তদন্ত করে তুমুল বিতর্কের মধ্যেও ঘটনাটিকে ধর্ষণ হিসেবেই উল্লেখ করেছিলেন নিজের রিপোর্টে। বর্তমানে তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার।