রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া গড়ফায়। ৩ মাস ধরে বাবার মৃতদেহ আগলে রেখেছে ছেলে। গৃহকর্তাকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, বলে থানায় জানান প্রতিবেশীরা। এরপরই তার বাড়ি থেকে বছর সত্তরের বৃদ্ধের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।
উল্লেখ্য, ফের বেঁচে উঠবেন মৃত প্রিয়জন। এমন বিশ্বাস নিয়ে মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন রবিনসন স্ট্রিটের পার্থ দে। সেই একই ধারণা রয়েছে গড়ফার কৌশিক দের মধেও।
তিনি তিন মাস ধরে আগলে থাকলেন নিজের বাবার দেহ। একই বিছানায় পড়ে ছিলেন তাঁর পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা। প্রতিবেশীদের কথা মতো ঘরে ঢুকে হতবাক পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গড়ফা থানার অন্তর্গত গাঙ্গুলি পুকুর এলাকায়।
জানা গেছে, গত তিন মাস ধরে প্রতিবেশীরা দেখতে পাচ্ছিলেন না সংগ্রাম দেকে। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থও ছিলেন তিনি। বাবার কথা ছেলেকে জিজ্ঞেস করে স্পষ্ট কোন উত্তর পেতেন না প্রতিবেশিরা। আর তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল। শেষে গড়ফা থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এ্রসে ঘরে ঢুকে দেখে বিছানায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের কঙ্কাল। তাঁর পাশে শুয়ে রয়েছেন পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রী। বিছানাতেই বসে রয়েছেন কৌশিক।
বৃদ্ধের স্ত্রীর দাবি, তাঁর ছেলে মনে করতেন, এভাবে রেখে দিলে হয়তো একদিন বেঁচে যাবেন বৃদ্ধ। সে কারণে প্রায় তিন মাস ধরে দেহ আগলে রেখেছিলেন। বৃদ্ধের স্ত্রীর দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কৌশিককে জেরা করছে পুলিশ। সংগ্রাম দে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে কাজ করতেন। ওই বাড়িতে নিজের স্ত্রী এবং ছেলে কৌশিককে নিয়ে থাকতেন। কৌশিকের মানসিক অবস্থা কেমন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।