করোনা আবহে বন্দিদের রাখি বন্ধন হয়নি। কিন্তু সেই আক্ষেপ এবার পূরণ হল। সংশোধনাগার থেকে সংশোধন হয়ে বন্দিরা মূল স্রোতে ফিরুক। ভাইদের রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করে শুভেচ্ছা বোনেদের।
বসিরহাট উপ-সংশোধনাগারে প্রায় ২৯৮ জন বন্দি রয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন জেলার ৬৭ জন রয়েছে।
আজকের এই দিনে বাড়িতে থাকলে কারো বোন, আবার কারো দিদি হাতে রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করে শুভেচ্ছা-আশীর্বাদে সৌভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধনে দিনটি উদযাপন করা হত। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে আইনের বেড়াজালে এদেশে আটকে গেলেও তারা যাতে আজকের এই দিন উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালন করতে পারে, তার সব রকম আয়োজন করা হয় উপ-সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে। সংশোধনাগরের রাখি পূর্ণিমা আয়োজন করেন উপ-সংশোধনাগারের জেলার অমিত ভট্টাচার্য ও সংশোধনাগার ইনচার্জ সুরত কুমার মন্ডল।
এদিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শ্রীদাম কাহারের উদ্যোগে কয়েকজন বোন রেখা, সাধনা, শ্যামলীরা হাতে মিষ্টির ডালা, ধান-দূর্বা তাদের একদিকে মিষ্টিমুখ করান।
অন্যদিকে, বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সাকচুড়া বাজারে জেলা পরিষদ সদস্য শাহানুর মন্ডলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল রাখি বন্ধন উৎসব। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি ব্যানার্জী।
প্রসঙ্গত, আজকের এই রাখি পূর্ণিমার দিন ১৯০৫ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গ রদ করার উদ্দেশ্যে জাতি বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন।