স্কুলের ড্রেন থেকে উদ্ধার ৭ বছরের শিশুর দেহ। পাটনার দিঘা থানা এলাকার রামজি চক এলাকার টিনি টোট অ্যাকাডেমির ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেসরকারি ওই স্কুলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। স্কুলের ক্লাসরুমে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। রাস্তাও অবরোধ করা হয়, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্কুলের বাকি অভিভাবকরাও। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পাটনার পালসন রোডের বাসিন্দা সাত বছরের আয়ুষ বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল। কিন্তু এদিন সন্ধ্যা হয়ে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। শুক্রবার সকালে স্কুলের ভেতরের একটি নর্দমা থেকে উদ্ধার হয় শিশুটির দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের অভিযোগ, স্কুলেই শিশুটিকে খুন করে নর্দমায় দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, শিশুটির দেহ উদ্ধারের পরই স্কুল চত্বরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় পরিবারের সদস্যেরা। এমনকী স্কুলে ঢুকে ক্লাসরুমে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। রাস্তাও অবরোধ করা হয়, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্কুলের বাকি অভিভাবকরাও। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে গোটা এলাকা।
ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন দিঘা আশিয়ানা মোড় ও দিঘা রামজি চক, বাটা পেট্রোল পাম্প এবং দানাপুর গান্ধী ময়দান সড়ক অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। সকাল থেকে একটানা বিক্ষোভের জেরে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পথচলতি মানুষদের। খবর পেয়েই বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।