খেজুর এমন একটি ফল যা ১২ মাস কিনতে পাওয়া যায়। অনেকেই নিয়মিত খেজুর খান। অনেক সময় পুষ্টি ও গুনাগুণ সম্পর্কে না জেনে আমরা শুধু আমাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছি। চলুন জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-
খেজুরের উপকারিতা-
১। খেজুর ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০গ্রাম খেজুরে শর্করা, চিনি, ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সহ ২৮২ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
২। খেজুর জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সাহায্য করে ।
৩। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করতে পারে খেজুর।
৪। খেজুর শরীরের শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর শতকরা ৮০ ভাগই চিনি। তাই শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ।
৫। খেজুরে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদন করতে সহায়তা করে যা মানুষকে মানসিক প্রফুল্লতা দেয়। যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।
৬। খেজুরে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭। প্রতিটি খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৮। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে জলে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খেজুর ভেজানো জল পান করুন। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৯। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারি। কেননা খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সক্ষম।
১০। আমাদের মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। ফলে আমাদের বদহজম অনেকাংশে দূর হয়।
তবে যারা সতর্ক হবেন-
১। যাদের মাইগ্রেন বা প্রচণ্ড মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে, তাদের খেজুর না খাওয়াই ভালো। কারণ ছোট মিষ্টি খেজুরে ‘টিরামিন’ বলে যে পদার্থটি রয়েছে, তা মাথা ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে৷
২। যারা ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তাদের জন্যও খেজুর খাওয়া ঠিক নয়৷
৩। যাদের দেহে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি তার খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
৪। যাদের ডায়াবেটিস এর সমস্যা আছে খেজুর গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই নিকটস্থ নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ গ্রহণ করুন।