দ্বিতীয়বার জামিন খারিজ হয়ে গেল আরিয়ান খানের। আপাতত, জেলেই থাকতে হবে তাকে। আরিয়ানের সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধমেচার জামিনের আবেদনও খারিজ করেছে আদালত। এদিন আদালতে শুনানি চলার সময় আরিয়ান খানের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে আনে এনসিবি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এক উঠতি নায়িকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আরিয়ান মাদক নিয়ে লম্বা চ্যাট করেছেন। আরিয়ানের বিরুদ্ধে এই চ্যাটকে অস্ত্র করে এগোতে চাইছে এনসিবি।
গত ২ অক্টোবর রাতে মুম্বই থেকে গোয়াগামী বিলাসবহুল প্রমোদতরী কর্ডেলিয়া রেভ পার্টি থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। মাদক কাণ্ডে জেরা করা হয় আরিয়ান খানকেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার পর গ্রেপ্তার হন শাহরুখপুত্র।
ছেলের গ্রেপ্তারির খবরে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন শাহরুখ ও গৌরী। নতুন ছবির শুটিং স্থগিত করেন কিং খান। আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডেকে নিযুক্ত করেন তিনি। জামিন না পাওয়ায় আরিয়ানের আইনজীবী বদল করে অমিত দেশাইকে নিয়োগ করেন। সলমন খানের হিট অ্যান্ড রান মামলার আইনজীবী ছিলেন অমিত দেশাই। তাঁর তত্ত্বাবধানেই ২০১৫ সালের মে মাসে জামিনে মুক্তি পান ভাইজান। গত ১১ অক্টোবর তিনি আরিয়ানের জন্য আদালতে গিয়ে জামিনের আরজি দাখিল করেন।
এর আগে ১৪ অক্টোবরও আদালতে খারিজ হয়েছিল আরিয়ানের জামিন। আজ আরিয়ান খানের জামিন নিয়ে আশায় ছিলেন শাহরুখ খানের পরিবার। কিন্তু আজও জামিন পেলেন না শাহরুখপুত্র।