এবার বিদেশের মাটিতে চরম সমালোচিত হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই লকডাউন থেকে বেরিয়ে আরও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে প্রবেশ করেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে এভাবেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। এবার সেই সমালোচনার জবাব দিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
ঠিক কী লেখা হয়েছে? ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ সংবাদপত্রের দাবি, লকডাউন থেকে বের করে ‘কোভিড অ্যাপোক্যালিপ্স’–এর পথে দেশকে নিয়ে গিয়েছেন মোদী। ভারতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করার পেছনে নির্বাচনী সভায় হাজার হাজার মানুষের ভিড়, কুম্ভমেলার বিপুল জনসমাবেশ, বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণীতে কান না দেওয়া এবং অক্সিজেন–টিকার ঘাটতি রয়েছে। এমনকী, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যটিও। মোদী বলেছিলেন, ‘এত ভিড় আমি আগে দেখিনি।’
এই ধরনের প্রতিবেদনকে ভালভাবে নিচ্ছে না ভারত। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। সেই দেশের কাগজেই প্রধানমন্ত্রীকে এমন আক্রমণের মুখে পড়তে হল। আর এরপরই নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই রিপোর্টিংকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’–এর সম্পাদক ক্রিস্টোফার ডোরেকে লেখা এক চিঠিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, যেখানে সারা বিশ্ব করোনা অতিমারীর মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপের প্রশংসা করা হচ্ছে, সেখানে ভারতের ভাবমূর্তিকে খাটো করতেই ওই সংবাদপত্রে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।