আফগানিস্তানের দখল তালিবানিদের হাতে যাওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে আশঙ্কার কালো মেঘ জমেছে। কারণ তালিবানি শাসনের বহর এর আগে দেখেছে গোটা বিশ্ব। এবারেও যে তার পুনরাবৃত্তি হবে না সেটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। এরমধ্যেই একদল মার্কিন আইনপ্রণেতা আশঙ্কা করছেন পাকিস্তান থেকে পরমানু অস্ত্র তালিবানিদের হাতে চলে যেতে পারে। এই বিষয়ে তাঁরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তালিবান পাকিস্তানেও অশান্তি সৃষ্টি করে পরমানু অস্ত্র সম্ভারের দখল নিতে পারে। আর এটা হলে গোটা বিশ্বের কাছে বড় হুমকি হবে।
গত বুধবার ৬৮ জন মার্কিন সেনেটর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তাঁরা জানতে চেয়েছে, আফগানিস্তানের তালিবান শাসকদের সঙ্গে আমেরিকা কী কী আলোচনা করেছে এবং আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকা প্রশাসন কী পরিকল্পনা করছে। তাঁরা আরও জানতে চেয়েছে তালিবান পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী দেশগুলির সীমান্তে যোদ্ধার সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে আপনারা কী মিত্র দেশগুলিকে সামরিক সমর্থন করতে প্রস্তুত? এই বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী? তবে ওই চিঠিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পাকিস্তানের পরমানু শক্তি নিয়ে। তালিবান যদি পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে তাঁদের পরমানু অস্ত্রসম্ভার হাতিয়ে নেয় তবে আমেরিকার পরিকল্পনা কী হতে পারে?
ইতিমধ্যেই কাবুলে আত্মঘাতী হামলায় ১৫ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। জখম আরও কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে কেন আমেরিকার সৈন সরিয়ে নিয়ে আসতে এত দেরি হল সেটাও জানতে চেয়েছেন ওই সেনেটররা। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আফগান নারী এবং নাবালিকারা রোজ নিপীড়িত হচ্ছে। অগণিত আফগান জনগন তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন। অপরদিকে তালিবানিরা তাঁদের দেশে আটকে রাখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে মরীয়া চিন, ধীরে ধীরে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এটাও বিপদজনক হতে পারে বলে মনে করছেন মার্কিন সেনেটররা।