আজ সকালে ঘুম ভাঙতেই গঙ্গার এই ধ্বংসলীলা চাক্ষুষ করলেন সামসেরগঞ্জবাসী। মুহূর্তের মধ্যে চোখের সামনে তলিয়ে যেতে দেখলেন একটা আস্ত মন্দিরকে। বিধ্বংসী ভাঙন সামসেরগঞ্জে! মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ফের শিবপুরে গঙ্গা ভাঙন। যার ফলে নদী গর্ভে তলিয়ে গেল মুর্শিদাবাদের অতি প্রাচীন লক্ষ্মী মন্দির। আজ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
গঙ্গা ভাঙন মুর্শিদাবাদের একটি বড় সমস্যা। অতীতে সামশেরগঞ্জের শিবপুর গ্রামের বহু বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গা গর্ভে। ভেসে গেছে বাড়ির আসবাবপত্রও। আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহু মানুষজন। বাড়িঘর হারিয়ে মাঠে ত্রিপল খাটিয়ে কোনওক্রমে দিন গুজরান করছেন তারা। স্কুলে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাওয়া শিবপুরের প্রাচীন লক্ষ্মী মন্দিরে নিয়মিত পুজো-অর্চনা করতেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকাল থেকেই নদীর স্রোত দেখে, স্থানীয়রা অনুমান করছিলেন যে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে পাড়ে থাকা মন্দিরও। বেলা বাড়তেই সেই আশঙ্কা সত্যি হল। গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেল মন্দির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সামশেরগঞ্জে ভাঙন নতুন নয়। এর আগে একটি আস্ত শবঘাট ডুবে গিয়েছিল নদীগর্ভে। দিন কয়েক আগে থেকেই গঙ্গায় জলস্তর কমলেও নতুন করে শুরু হয়েছে ভাঙন। সেই ভাঙন ঠেকাতে বালির বস্তা ফেলা হয়। কিন্তু, তাতেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এইভাবে ভাঙনে কার্যত এরপর গ্রামগুলিও তলিয়ে যেতে পারে গঙ্গায় এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
গঙ্গা ভাঙনে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ জেলায়। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি চলে গিয়েছে নদী বক্ষে। সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। এরপরও রক্ষে নেই। রাক্ষুসে নদীর ক্ষিদে কিছুতেই মিটছে না।