আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের কাছে বাজেট পেশ করলেন স্বাধীনভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি শুরু হয় রাজ্য বাজেট পেশ। আগামী চার বছর রাজ্যের কি কি ক্ষেত্রে কত বরাদ্দ এবং রাজ্য সরকারের কি কি পরিকল্পনা তা পেশ করা হয় রাজ্য বাজেটে।
রাজ্য সরকার এবার স্কুল শিক্ষাক্ষেত্রে ৩৫হাজার ১২৬ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেছে। গ্রন্থাগার পরিষেবা উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ৫হাজার৪ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় ৫ হাজার ৮১১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে এই বাজেটে। প্রযুক্তি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ১২৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এবার পাহাড়ের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র এবং পার্বত্য বিষয়ক দপ্তর এর জন্য ১১৫৫৭কোটি টাকা। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নে ৭৯৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই রাজ্য বাজেটে। বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার ক্ষেত্রে ৭৪৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে।
বন বিষয়ক উন্নয়নে ৯৩৮ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হল। সুন্দরবন উন্নয়ন খাতেও বরাদ্দের পরিমান ৭২০ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। লক্ষী ভান্ডার ১ কোটি মানুষকে সাহায্য করার প্রস্তাব রাজ্য বাজেটে দেওয়া হয়েছে। শহর ও পুর এলাকাগুলিতে উন্নয়নের জন্য রাজ্য বাজেটে ধার্য করা হয়েছে ১২৮১৮ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকার প্রস্তাব।
কৃষি ও কৃষি বিপণনে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের, কৃষি বিপণনে ৪৩০.৩০কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং কৃষিক্ষেত্রে ৯৩১০.২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সিএনজি চালিত যানবাহন এর ক্ষেত্রেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। রেজিস্ট্রেশনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সিএনজিচালিত গাড়িতে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ফি মকুবের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। উপজাতি উন্নয়নের জন্য ১০৪৯কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে রাজ্য বাজেট আর পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য ২১৭৮কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখলেন অর্থমন্ত্রী। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে ২৬৬কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা এবং নারী ও শিশু কল্যাণ প্রকল্পে ১৭.৫ গুন বরাদ্দ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার, যার পরিমাণ ১৯২৩৮কোটি ২৭ লক্ষ টাকা।