নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য। রাতভর জিজ্ঞাসার পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি। তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করা হয়েছিল। রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার হন তিনি।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট যেদিন মানিক ভট্টাচার্যকে রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দফতরে যেতে বলে, সেদিনই মানিক ভট্টাচার্য সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানান। মূলত সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ চেয়েছিলেন তিনি। ৩০ সেপ্টেম্বর যে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাতে মানিকের রক্ষাকবচের মেয়াদ বেড়েছিল। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সেই রক্ষাকবচ ছিল। তবে সিবিআইয়ের তদন্তের ক্ষেত্রে মানিক রক্ষাকবচ এনেছিলেন, ইডির ক্ষেত্রে নয়। যার জেরে অনায়াসেই ইডি তাঁকে গ্রেফতার করতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, টেট দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে বেশ কিছু নথি জমা দিতে বলেছিল আদালত। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য যে নথি জমা করেছে তা ভুয়ো। মানিকবাবুর কাছে ২০১৭ সালের নথি চাওয়া হয়েছিল। উনি ২০২২ সালে ভুয়ো নথি বানিয়ে আদালতে পেশ করেছেন।” এরপরই অবিলম্বে মানিকবাবুকে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন তিনি।