এবার সশরীরে দেখা মিলল মানিক ভট্টাচার্যের। শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডের ফ্ল্যাটের বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখও খোলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। প্রথমে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করতে বলেন। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিশেষ মন্তব্য করা উচিত নয়। বাজার করা, ওষুধ কিনতে যাওয়ার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দেওয়ার আরজিও জানান তিনি। তবে বাড়ির বারান্দা থেকে নিচে নামার অনুরোধ করলেও, রাজি হননি তিনি।
উল্লেখ্য, টেট দুর্নীতি মামলায় বিপাকে মানিক ভট্টাচার্য। শুক্রবার মানিক ভট্টাচার্যের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবারই প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিশ। টেট অনিয়ম মামলাতেই মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেননা মানিক ভট্টাচার্য গা ঢাকা দিতে পারেন বলে অনুমান গোয়েন্দাদের। কার্যত সে কারণেই মানিক ভট্টাচার্যের ছবি ও মামলার বিস্তারিত তথ্য সহ লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়। প্রতিটি বিমানবন্দরেই সেই লুক আউট নোটিশ দেওয়া হয়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার ইডির হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২৭ জুলাইয়ের পর আর ইডির ডাকে সাড়া দেননি তিনি। যাদবপুরের বাড়ি, ফ্ল্যাটেও দেখা মেলেনি তাঁর। এমনকী, নদিয়ার পলাশি পাড়ার পৈতৃক বাড়িতেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। গত একমাস ধরে তালা ঝুলছে সেই বাড়িতে। অভিযোগ, মানিক ভট্টাচার্য যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন তাতেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এরপর শনিবার সকালেই যাদবপুরের ফ্ল্যাটে দেখা পাওয়া যায় তার। বাড়ির বারান্দা থেকে মানিকবাবু বলেন, “বিচারাধীন বিষয়ে কিছু বলব না। তদন্তে অসহযোগিতা আমি করিনি। যাদবপুরের ফ্ল্যাটেই আছি। দয়া করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে দিন।”