চাকরি চাইতে এসে পুলিশের কামড় খেতে হল। পুলিশের কাজে স্তম্ভিত আন্দোলনকারী অরুণিমার পরিবার। আর সারারাত লালবাজারে বসে চিকিৎসার আর্জি জানালেও, পুলিশ সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অরুণিমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে।
এই ঘটনাক্রম দেখার পর খাওয়া-ঘুম ছেড়েছে অরুণিমার পরিবার। বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছেন তাঁর স্বামী-সন্তান। অরুনিমা পাল সহ ৩০ জন গ্রেফতার চাকরি প্রার্থীদের বৃহস্পতিবার ব্যাঙকশাল কোর্টে তোলা হলে শেষপর্যন্ত জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। যদিও ধর্মতলায় ফের ধরনায় বসতে পারবেন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৪০ দিন শান্তিপূর্ণ ধরনার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার এক্সাইড মোড়ে জমায়েত হন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা। চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। এমনকী, প্রিজন ভ্যানের নিচে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বেশ কয়েকজন। টেট বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ব্যস্ত অফিসে টাইমে তখন কার্যত অবরুদ্ধ গোটা এলাকা। এই আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশকর্মীর কামড় খেয়েছিলেন এক চাকরিপ্রার্থী।
অভিযোগ, টেট আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক মহিলার হাতে কামড়ে দিয়েছেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। যদিও অভিযুক্ত ওই পুলিশকর্মী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।