আজ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়(টেট) বসতে চলেছে রাজ্যের আড়াই লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থী। রবিবার অন্যান্য দিনের তুলনায় কমসংখ্যক ট্রেন চলাচল করে। ফলে বিভিন্ন জেলার বহু প্রার্থীর সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুমান করছেন পরীক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে ঢোকার জন্য ব্যবস্থা হয়েছে বলে বোর্ড সূত্রে খবর।
তবে দুপুর ১টা থেকে শুরু হচ্ছে পরীক্ষা। চলবে দুপুর ৩.৩০ পর্যন্ত। পরীক্ষা হবে ১৫০ নম্বরে। ২০১৭ সালের ১২ মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বের হওয়ার পর যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁরা এই পরীক্ষায় বসছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে যতজন পরীক্ষার্থীকে রাখা হতো, এবার সেই সংখ্যাকে অর্ধেক করা হয়েছে। প্রতি বেঞ্চে দু’জন করে বসে পরীক্ষা দেবেন। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রকে ইতিমধ্যে স্যানিটাইজার করা হয়েছে।
পূর্ব রেল দপ্তর সূত্রে খবর, বিশেষ পরীক্ষা উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রেন চালানোর কোনও অনুরোধ আসেনি। ফলে অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য, পূর্ব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে রবিবার অন্যান্য দিনের তুলনায় কম সংখ্যক ট্রেন চলাচল করে। তার উপর কোভিড পরিস্থিতিতে কয়েকটি জেলায় কিছু ট্রেন অনিয়মিত। যার জেরে এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে চূড়ান্ত ভোগান্তি হতে পারে বলে মনে করছেন প্রত্যন্ত এলাকার বহু পরীক্ষার্থী।
থার্মাল স্ক্রনিং করেই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করবেন পরীক্ষার্থীরা। সঙ্গে রাখতে হবে নিজস্ব স্যানিটাইজার ও মাস্ক। পরীক্ষা চলাকালীন প্রয়োজন হলে নেট পরিষেবা বন্ধ রাখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অনুরোধ করেছে জেলা প্রশাসনকে। টেট পরীক্ষার্থী এবং ডিএলএড মঞ্চের আহ্বায়ক কৃষ্ণেন্দু দেবেব বক্তব্য, ‘সবদিক বিচার করে ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের নিয়মে শিথিলতার আবেদন জানাচ্ছি। বোর্ড সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করুক। এই আবেদন রাখছি।’
পরীক্ষার্থী ও গার্ড কেউই মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না পরীক্ষা কেন্দ্রে। প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী এক হাজার কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন। পরীক্ষার সময়সীমা আড়াই ঘন্টা। পরীক্ষা কেন্দ্রে ১২টার মধ্যে ঢুকতে হবে। কোভিড বিধি যাতে সকলে মানেন তার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। প্রতি কেন্দ্রে থাকবেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। পরিদর্শকদেরও মোবাইল সংক্রান্ত বিধিনিষেধের আওতার মধ্যে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না তাঁরা। এছাড়া ক্যালকুলেটর বা কোনওরকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। যদি কারও কাছে এরকম কোনও জিনিস পাওয়া যায় তাহলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার উল্লেখও রয়েছে নির্দেশিকাতে।
