মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী পুজোর আগেই হবে টেটের ফলপ্রকাশ। সফল চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রও পেয়ে যাবেন দুর্গাপুজোর আগেই। মঙ্গলবার এই ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। তার জেরে পুজো ভালই কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার করোনাভাইরাসের জেরে বহু মানুষের চাকরি নেই। তাই এই কর্মসংস্থানে পরিবারে আশার আলো দেখছেন অনেকে।
কয়েকদিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর আগে ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আর প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিয়োগ পাবেন ১০ হাজার ৫০০ জন। এই প্রক্রিয়া চলবে পুজোর পরও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে এই ১০ হাজার ৫০০ জন নিয়োগ পুজোর আগেই হবে বলে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুজোর আগে ১০,৫০০ জনকে নিয়োগ করা হবে প্রাথমিকে। কাজ এগোচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
জানুয়ারি মাসে তৃতীয় দফার টেট পরীক্ষা হয়। তাতে আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। সেই পরীক্ষার ফল পুজোর আগে প্রকাশ করে হবে। তারপর আগামী সেপ্টেম্বর মাসের আগে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে জানিয়েছে পর্ষদ। আগেই ৫,৬৫৬ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৫,১৪৬ জন কাজে যোগ দিয়েছেন। মেধার তালিকা অনুযায়ী তাঁদের আগেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই চাকরিপ্রার্থীরা জেনে যাবেন কোথায় এবং কীভাবে কাউন্সেলিং হবে। তারপর জেলাভিত্তিক প্যানেল তৈরি করে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। বোর্ড এবং স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট সব কিছু ধারাবাহিকভাবে জানিয়ে দিয়ে থাকে। তাই কোনভাবে বিভ্রান্ত না হয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের দিকে নজর রাখার আবেদন জানিয়েছে পর্ষদ। মানিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী আমরা নিয়োগ করছি। কোনও বেআইনিভাবে নিয়োগ করছি না। এনসিটিই আইন অনুযায়ীই কাজ হয়েছে। রাজ্য সরকার এই আইন করেনি।’