সবরকম বাধা বিপত্তি কাটিয়েও শনিবার গগনযান মিশনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে TV-D1 ফ্লাইটের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ইসরো। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাশূন্যে গগনযানের যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরে ৮টা ৪৫ মিনিটে গগনযান যাত্রা শুরু করবে বলে জানানো হয়।
গগনযানের উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শুরু হতে যখন মাত্র ৫ সেকেন্ড বাকি, ঠিক সেই সময়ই ইসরোর ‘কাউন্টডাউন ক্লক’-এ লাল কালিতে ভেসে ওঠে ‘হোল্ড’ শব্দটি। ইঞ্জিনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখেই সেই সময় উড়ান স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ইসরোর তরফে এক্স হ্যান্ডলে জানানো হয়, যাত্রা স্থগিতের কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে এবং তা সংশোধনও করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের পরবর্তী সময় নির্ধারিত করা হয় সকাল ১০টায়। শ্রীহরিকোটা স্পেস সেন্টার থেকে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সফল উৎক্ষেপণ সম্ভব হল। ইসরোর তরফে খবরটি নিশ্চিত করে জানানো হয়, পরিকল্পনামাফিক মিশন চলছে। এ প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানান, ‘গগনযান নিরাপদে রয়েছে। আমরা তদন্তের পর যাত্রা স্থগিত করার কারণ জানাব।’ তারপরেই আবার উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শুরু করার তোড়জোড় শুরু হয়।
মহাকাশের ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মানুষকে পাঠানোর যে পরিকল্পনা, তার অঙ্গ হিসাবে পরীক্ষামূলক ভাবে গগনযান পাঠানোর কথাও জানায় ইসরো। মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পর কী ভাবে তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যায়, তা খুঁটিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবটকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। সেই অভিযান সফল হলে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হবে।