জম্মু–কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের নিশানায় বিজেপি’র নেতা–কর্মীরা। বৃহস্পতিবার রাতে কুলগাম জেলায় জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় নিহত হয়েছেন বিজেপি’র তিন কর্মী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপি’র একজন জেলা যুব সাধারণ সম্পাদকও। পুলিশ সূত্রে খবর, কুলগামের কাজিগুন্ড এলাকায় এই হামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাজিগুন্ডের ওয়াইকেপোরার এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটায় জঙ্গিরা। এই হামলায় গুরুতর আহত হন ওই তিন নেতাকর্মী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। নিহতদের নাম ফিদা হুসেন জাটু, উমের রশিদ বেগ এবং উমের রমজান হাজাম। ফিদা হুসেন ছিলেন বিজেপি’র জেলা যুব সাধারণ সম্পাদক।
জম্মু–কাশ্মীর পুলিশের এক কর্তা জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিট নাগাদ জঙ্গি হামলার কথা জানিয়ে থানায় ফোন আসে। তার পরেই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে কাজিগুন্ডের ওয়াইকে পোরার এক গ্রামে ঢুকে জঙ্গিরা বিজেপি’র তিন কর্মীকে গুলি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু চিকিত্সকেরা তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
গাড়িতে থাকা বিজেপি’র তিন কর্মীই গুলিতে ঝাঁঝরা করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। পুলিশের উপস্থিতিতে ওই গাড়িতে করেই তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই ফিদা হুসেন মারা যান। বাকি দু’জন হাসপাতালে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি টুইটে লেখেন, তিন বিজেপি কর্মীকে যেভাবে টার্গেট করে খুন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা করছি আমি। টুইট বার্তায় তিন বিজেপি কর্মী হত্যার নিন্দা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হামলার পর কুলগাম জেলার ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলেছে যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কাশ্মীর উপত্যকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর এটা প্রথম হামলা নয়। এর আগে জুলাই মাসে বান্দিপোরায় বিজেপির জেলা সভাপতি শেখ ওয়াসিম বারি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ছাড়া আরও একাধিক বার বিজেপি নেতারা জঙ্গিদের টার্গেট হয়েছে।