দেশ লিড নিউজ

তিন রুটেই হামলার ছক, জারি সতর্কবার্তা

জম্মু–কাশ্মীর অথবা পশ্চিম সীমান্তের অন্য রুট শুধু নয়, সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে সমুদ্রপথেও। নিশানা করা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন উপকূলবর্তী শহর। ২৬/১১-র ধাঁচেই ফের জঙ্গিরা হামলা চালাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিকে এই মর্মে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আজমল কাসবরা যেভাবে মুম্বইতে পা রেখেছিল, এবারও সেই কৌশল নেওয়া হতে পারে বলে রিপোর্ট এসেছে নর্থ ব্লকে। এই নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ব্যুরো অব পুলিস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংস্থার ৫১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘স্থলের মতো আমাদের সমুদ্র সীমান্তকেও সমানভাবে নিরাপত্তা দিতে হবে। শৈথিল্যের প্রশ্ন নেই।’

এই সতর্কবার্তার নেপথ্যে রয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্ট। তাতে উল্লেখ রয়েছে, এই প্রথম জল, স্থল, আকাশ—তিনটি রুটেই ভারতে হামলার ছক নিয়েছে জঙ্গিরা। আকাশপথে হামলার কৌশলের প্রধান মাধ্যমই হল ড্রোন। একইভাবে সমুদ্রপথে হামলার নতুন কৌশল নিচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। গত ১৫ দিনে জম্মু-কাশ্মীর থেকে পশ্চিম সীমান্তের প্রতিটি জায়গাতেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করেছে কেন্দ্র। আগামী ১০ বছর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় হতে চলেছে বলে দাবি অমিত শাহের। বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পরই ভারতে জঙ্গি হানার আশঙ্কা তুঙ্গে। আল–কায়দার সরাসরি হুমকি এসেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালিবানও। ভরকেন্দ্র সেই কাশ্মীর। ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান অপহরণের ঘটনা এখনও ভারতের কাছে চরম এক শিক্ষা। সেবার মাসুদ আজহারের মতো জঙ্গিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন এনডিএ সরকার। তারপর মাসুদ জয়েশ–ই–মহম্মদ গঠন করে লাগাতার ভারতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে আসছে। মাসুদের জয়েশ এবং হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তোইবার যোগসাজশে ২০০৮ সালে হয়েছিল মুম্বই হামলা। সেই তালিবান আবার ক্ষমতায়।