দেশ লিড নিউজ

২৬/১১’র ধাঁচে হামলার ছক

ভারতে হামলার জন্য জঙ্গি প্রশিক্ষণ। আর সেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে খোদ পাক সেনাবাহিনীর কর্তারা। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে আইএসআইয়ের স্লিপার সেল। তাদের থেকেই কিছু ‘রিক্রুট’কে বাছাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাকিস্তানে। সেখানে তাদের দেওয়া হচ্ছে ১৫ দিনের ‘আশকারি তালিম’ (মিলিটারি ট্রেনিং)। গোয়েন্দারা বলছেন, ২৬/১১’র ধাঁচে হামলা চালানোর জন্যই লস্কর–ই–তইবা এবং দাউদ ইব্রাহিমের ‘ডি’ কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ওই ক্যাম্প।

ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, সিংহভাগই বাংলাদেশের ‘নিও জেএমবি’র সদস্য। মায়ানমারের বঙ্গভাষী রোহিঙ্গাও রয়েছে দু’-তিনজন। এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি ধৃত ৬ জঙ্গির। তারাও এই প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছে ভারতে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে জেরায় তারা স্বীকার করেছে, গাজি, হামজা এবং জব্বার নামক তিন ব্যক্তি পাকিস্তানের গদর বন্দরের কাছে একটি ক্যাম্পে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এই তিনটিই কিন্তু কোডনেম! এরা আসলে পাকিস্তানি সেনার উচ্চ পদমর্যাদার অফিসার। একজন কর্নেল, দু’জন লেফটেন্যান্ট।

মুম্বই ধাঁচের হামলার প্রস্তুতি। কেন মুম্বই ধাঁচ? ১৯৯৩ এবং ২০০৮। ১৫ বছরের ব্যবধানে দু’টি ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা ঘটেছিল মুম্বই শহরে। দু’টি হামলার সঙ্গে দুই পৃথক জঙ্গি টিম যুক্ত ছিল। কিন্তু চালিকাশক্তি ছিল একই—আইএসআই। ১৯৯৩ সালে আইএসআইয়ের নির্দেশ ও প্ল্যান কার্যকর করেছিল দুই ডন, টাইগার মেমন এবং দাউদ ইব্রাহিমের টিম। সেবার মুম্বই থেকে এই দুই মাফিয়া টিমের সদস্যদের পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও লাহোরে নিয়ে গিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রশিক্ষণ।

প্রশিক্ষণ দিয়ে করাচি বন্দর থেকে পাঠানো হয়েছিল মুম্বইয়ে গণহত্যার জন্য। সেবার ‘সৈনিক’ হাফিজ সঈদ। ঠিক সেরকম কৌশলেই ফের আঘাতের আশঙ্কা। ধৃত ছয় জঙ্গিকে জেরায় জানা যাচ্ছে, এবার রিক্রুট হয়েছে দাউদের ভাই আনিস ইব্রাহিমের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। জিশান কামার এবং ওসামাকে সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পাকিস্তানে—একাধিকবার বোট বদলে। গদর বন্দরের কাছে জিওনি অঞ্চলে এক ব্যক্তি তাদের নিয়ে যায় সিন্ধ প্রদেশের থাট্টা জনপদে। সেখানে মিরপুর সাকরো মহল্লার একটি ফার্ম হাউসে ট্রেনিং হয় জঙ্গিদের।