দেশ লিড নিউজ

পুলিশের জালে ছয় জঙ্গি, বাংলা যোগ!‌

দেশজুড়ে নাশকতা চালানোর পাকিস্তানি ছক ব্যর্থ করে দিল দিল্লি পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে মোট ছ’জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল। এই ছ’জনের মধ্যে দু’জনকে আবার নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়ে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। ২৬/১১-এর হামালাকারী আজমল কাসব যেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল, সেই থাট্টা শহরের গোপন ঘাঁটিতে এই দু’জনকেও নাশকতার পাঠ দিয়েছিল আইএসআই।

দিল্লি পুলিশকে গোয়েন্দারা জানান, দেশজুড়ে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করেছে জঙ্গিরা। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিসের সাহায্য নিয়েছে আইএসআই। ১৯৯৩ সালের মুম্বই সিরিয়াল ব্লাস্টের আদলেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল। এরপরই ইনসপেক্টর সুনীল রাজন ও রবীন্দর যোশির নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তৈরি হয়। গোপন সূত্রে ওই টিম খবর পায়, সীমান্তের ওপার থেকে আইইডি ঢুকেছে। পরিকল্পনা পেকে ওঠার আগেই তা ভেস্তে দিতে উদ্যোগী হয় দিল্লি পুলিশ। তৈরি হয় একাধিক টিম।

রাজস্থানের কোটা থেকে দিল্লি আসার পথে গ্রেপ্তার করা হয় আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন জান মহম্মদ শেখকে। এছাড়া ওখলা, রায়বেরিলি, লখনউ, প্রয়াগরাজ ও সরাইকালে খান থেকে বাকি জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সিপি (স্পেশাল সেল) নীরজ ঠাকুর জানান, ‘মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জান মহম্মদ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। ওসামা দিল্লির জামিয়া নগর, মুলচাঁদ উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি, জিশান কামার প্রয়াগরাজ, আবু বকর বাহারাইচ ও আমির জাভেদ লখনউয়ের। এই ছ’জনের মধ্যে ওসামা ও জিশান চলতি বছরেই পাকিস্তানে যায়। সেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেয় আইএসআই। তাদের বলা হয়েছিল, দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে।’

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, আনিসের পাঠানো সামগ্রী নেওয়ার কথা ছিল মুলচাঁদ ও জান মহম্মদের। হাওলা চ্যানেলের মাধ্যমেই জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র ও অন্য সামগ্রী পাঠিয়েছিল ওই আন্ডারওয়ার্ল্ড গ্যাং। এদিকে, চলতি বছরের এপ্রিলে লখনউ থেকে মাস্কাট যায় ওসামা। সেখানে আগে থেকেই ছিল জিশান। এরপর তাদের জলপথে সিন্ধপ্রদেশের থাট্টায় নিয়ে গিয়ে ১৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয় আইএসআই। এই প্রশিক্ষণ শিবিরে আরও জনা পনেরো বাঙালি ছিল।