বিভিন্ন জঙ্গি এবং বিভেদকামী সংগঠন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। এই মর্মে রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশকে সতর্ক করলেন গোয়েন্দারা। এই সতর্কবার্তা নবান্নের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সব আধিকারিককে। বিশেষ করে সতর্ক করা হয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফ এবং এসএসবি’কে।
সতর্কবার্তা অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন ‘মিশ্র’ এলাকায় উৎসব পর্বে বাড়তি নজরদারি রাখতে হবে। সদাসতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোক্তা এবং ক্লাব সংগঠনগুলিকে। গোয়েন্দা দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী ১০টি জেলার মোট ১৪টি ‘পয়েন্ট’ এবং ভুটান ও অসম লাগোয়া এ রাজ্যের আরও তিনটি ‘পয়েন্ট’ নিয়ে হাইঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, উৎসব পর্বে শান্তিরক্ষক এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি জখন ‘মেনল্যান্ড’এর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজে ব্যস্ত থাকবে। সেই সুযোগে দেশ বিরোধী বিভিন্ন শক্তি ‘নাশকতা’ সহ নানা অভিসন্ধি ফলপ্রসূ করার ফিকির খুঁজবে। তাই এই বাড়তি সতর্কতা। আগামী ১৫ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে নিরঞ্জন পর্ব শেষ করার সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। বিসর্জন পর্বের উচ্ছ্বাস যেন, অন্যকে বিরক্ত না করে, তা দেখার জন্য শান্তিরক্ষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সৃত্রে খবর, যে এলাকাগুলি নিয়ে হাইঅ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, তাতে যেমন মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর ও কোচবিহারের কিছু অংশের অরক্ষিত ‘স্থল সীমান্ত’ রয়েছে, তেমনই রয়েছে দুই ২৪ পরগনার জলসীমান্তও। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনারসুন্দরবন অংশের চামটা, হলদিবাড়ির মতো কোর এলাকা এবং বঙ্গোপসাগরের তালপাটির চর। উত্তর ২৪ পরগনায় টাকি, হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ এবং কালীনগরের কিছু অংশ ‘হাইঅ্যালার্ট’ জোনের মধ্যে রয়েছে। একইভাবে মালদহের কালিয়াচকের জলসীমান্তের বেশ কিছুটা অংশ রয়েছে হাইঅ্যালার্ট মুডে।
You must be logged in to post a comment.