দেশ লিড নিউজ

পাকিস্তানের নাশকতার ছক বানচাল

স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের বড় নাশকতার চক্রান্ত বানচাল করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। ১৫ আগস্টের ঠিক একদিন আগে জম্মুতে তাদের হাতে ধরা পড়েছে চার জয়েশ জঙ্গি—মুন্তাজির মনজুর ওরফে সইফুল্লা, তৌসিফ আহমেদ শাহ ওরফে শওকত বা আদনান, জাহাঙ্গির আহমেদ ভাট এবং ইজাহার খান ওরফে সোনু খান। প্রথম তিনজন কাশ্মীরের বাসিন্দা এবং শেষের জন উত্তরপ্রদেশের। ধৃতরা আইইডি বিস্ফোরণের ছক কষেছিল বলে দাবি জম্মু জোনের এডিজি মুকেশ সিংয়ের।

পুলিশের অনুমান, লস্করের থেকেও বড় হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল জয়েশ। পরিকল্পনা ছিল—প্রথমে পাকিস্তান থেকে ড্রোনে অস্ত্রের জোগান আসবে পাঞ্জাবে। সেখান থেকে তা ট্রাকে এনে মজুত করা হবে কাশ্মীর উপত্যকায়। তারপর স্বাধীনতা দিবসে গোটা দেশকে কাঁপিয়ে একের পর এক রাজ্যে হামলা চালানোর কথা ছিল জঙ্গিদের। তার আগেই ধরা পড়ে গেল চারজন।
এডিজি মুকেশ সিং জানান, কাশ্মীর থেকেই হামলা শুরুর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। জম্মুর কোনও এক জায়গায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষে তারা। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেওয়ায় সেই উদ্দেশ্যে জল ঢেলে দিয়েছে পুলিশ। প্রথমে জয়েশের অন্যতম সদস্য মুন্তাজিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, আট রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দু’টি চীনা হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়। তার সাহায্যেই কাশ্মীর উপত্যকায় অস্ত্র সরবরাহের ছক ছিল জঙ্গিদের।

পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় ইজাহার খানকে। উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার এই বাসিন্দার কাঁধেই ছিল অস্ত্র সংগ্রহের ভার। জেরায় জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে আত্মগোপন করে থাকা জয়েশ কমান্ডার মুনাজির ওরফে শাহিদ এব্যাপারে তাঁকে নির্দেশ দেয়। অমৃতসরের অদূরে ড্রোনের সাহায্যে সেই অস্ত্র নামানোর কথা ছিল। পাশাপাশি, তাকে হরিয়ানার পানিপত তেল শোধনাগারের ‘রেকি’ করতেও পাঠানো হয়। সেখানকার ভিডিও তুলে পাকিস্তানে পাঠিয়েছে ইজাহার। এরপর তাকে অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেখানে যাওয়ার আগেই ধরা পড়ে যায় সে। ধৃত তৌসিফের বাড়ি সোপিয়ানে। জম্মুতে বাইক বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে।