দেশ লিড নিউজ

বড় নাশকতার সম্ভাবনায় উপত্যকা, জারি সতর্কতা

ধর্মীয় হিংসা ছড়াতে জম্মুর মন্দিরগুলিতেই নিশানা করেছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। গোপন সূত্রে এই খবর মিলতেই জম্মু জুড়ে জারি করা হল উচ্চ সতর্কতা। জানা গিয়েছে, জইশ–ই–মহম্মদ ও লস্কর–ই–তৈবা এই দুই জঙ্গি সংগঠনই বড় নাশকতার ছক কষেছে। কারণ আবার জম্মু–কাশ্মীরের আকাশে ধরা পড়ল ড্রোনের ঘোরাঘুরি। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, সীমান্তের কাছে সাম্বা সেক্টরে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক আলো আকাশে দেখা যায়। সেই আলো লক্ষ্য করে গুলি চালান সেনা জওয়ানরা। এরপরই সেখান থেকে দূরে সরে যায় আলোগুলো।
আগামী ৫ আগস্টই জম্মুর বেশ কয়েকটি মন্দিরে নাশকতার ছক রয়েছে জঙ্গিদের। সেইদিনই জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হবে। স্বাধীনতা দিবসের দিনও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। এসএসপি সাম্বা রাজেশ শর্মা বলেন, ‘‌সাম্বা সেক্টরের একাধিক এলাকায় এই ড্রোনের ঘোরাঘুরি নজরে এসেছে। গত ১৬ জুলাই রামগড় এলাকা, সাম্বা সেক্টর, হিরানর সেক্টর এবং মিরান সাহিব এলাকায় চারটি ড্রোন ধরা পড়ে।’‌
সম্প্রতি ড্রোনের নজরদারি ও তিনবার ড্রোনের মাধ্যমে আইইডি বিস্ফোরক পাঠানোর ঘটনা এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি জম্মুর মন্দিরে বা তার আশেপাশের জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছে। সূত্রের খবর, অ্যান্টি–ড্রোন ব়্যাডারে ড্রোনগুলো ধরা পড়ার পরে, সেগুলোকে ধ্বংস করেন জওয়ানরা। নিয়ন্ত্রণ রেখার খুব কাছে অবস্থিত ওই চারটি এলাকায় সন্দেহভাজন ৪টি ড্রোন ধরা পড়ায়, পাকিস্তান থেকে ড্রোনগুলো কন্ট্রোল করা হচ্ছিল বলে একপ্রকার নিশ্চিত প্রশাসন। সাম্বা সেক্টর, হিরানর সেক্টর এবং মিরান সাহিব এলাকায় আরও তিনটি ড্রোন ধরা পড়ে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই জম্মুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ৭ কেজি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এরপর জম্মু বিমানঘাঁটিতেও বিস্ফোরণের আগের দিন ৫ কেজি বিস্ফোরক সহ এক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় তাঁর আরও দুই সঙ্গীর খোঁজ মেলে এবং তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। তবে সেনার তৎপরতায় সেই ছক বানচাল হয়ে যায়। গত কয়েক সপ্তাহে উপত্যকার আকাশে একাধিকবার ধরা পড়েছে সন্দেহভাজন ড্রোনের ঘোরাফেরা।