বাংলাদেশ

হাজার হাজার ভারতীয় ওপারে আটকে

পদ্মাপারের বেশিরভাগ এলাকা ফের অবরুদ্ধ। ঢাকা থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এমনকী করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে রেল, বিমান এবং স্থলপথে যাতায়াত বন্ধ হয়েছে। আগে যাঁরা বাংলাদেশে এসেছিলেন তাঁরা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে আটকে রয়েছেন। লকডাউনের তিন মাস পরেও তাঁরা সেই একই জায়গায় পড়ে রয়েছেন।
সূত্রের খবর, রাজশাহী–সহ বাংলাদেশের উত্তর–পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় আটকে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার ভারতীয়। আটকে পড়া ভারতীয়রা লকডাউন শুরুর আগে কেউ কেউ বাংলাদেশের আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। কেউ আবার ওপার বাংলায় নানা কাজে সেখানে গিয়েছেন। এখন হাতে পয়সাও ফুরিয়ে আসছে। সীমান্ত, ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু দেশে ফেরার ব্যাপারে তাঁদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। আটকে পড়া ভারতীয়রা পরিবার ছেড়ে, কেউ স্ত্রী–ছেলে–মেয়ে–মাকে ছেড়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে জানান, বাংলাদেশ–সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার জন্যে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্দে ভারত মিশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শুধু বিমানে করে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হয়। এখন দুটি স্থলসীমান্ত পথ হরিদাসপুর পেট্টাপোল–বেনাপোল ও ফুলবাড়ি— বাংলাবন্ধা (পঞ্চগড়) থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।