রাজ্য

উত্তুরে হাওয়ায় পারদ নামল মহানগরীতে

রাজ্য থেকেই বিদায় নিয়েছে বর্ষা। কিন্তু তারপর থেকেই গা শিরশিরে ভাব শুরু হয়েছে। ভোরে এবং সন্ধ্যে বেলায় এই অনুভব করছে কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গ। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা–সহ বাকি অল্প অংশ থেকেও বিদায় নিয়েছে বর্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়েছে উত্তুরে হাওয়া। সেই হাওয়ায় হালকা শিরশিরানিও ধরছে। এখন প্রশ্ন, তাহলে কী শীত তাড়াতাড়ি আসবে?‌
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, উত্তুরে হাওয়ার টানেই পতন হয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার। মঙ্গলবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারের (২৪.১ ডিগ্রি) থেকে পারদ কমেছে তিন ডিগ্রি। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। কলকাতা সংলগ্ন জেলায় পারদ কুড়ি ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। ব্যারাকপুরে পারদ রেকর্ড করা হয়েছে ১৯.৯ ডিগ্রি। এখান থেকেই শীত আগে পড়ার ভাবনা শুরু হয়েছে।
এদিন গোটা রাজ্যের মধ্যে শীতলতম জায়গা ছিল পুরুলিয়া। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। পুরুলিয়ার বাসিন্দাদের ভোর এবং সকালবেলায় শীতবস্ত্র গায়ে চাপাতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে পারদ নামার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে কবে থেকে তা শুরু হবে তা হলফ করে বলা যাচ্ছে না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। পানাগড়ে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি। শীত শীত ভাব অনুভূত হয়েছে শ্রীনিকেতন (১৮.৬ দিগ্রি), আসানসোল (১৮.৯ ডিগ্রি), বাঁকুড়ায় (১৯.৭ ডিগ্রি)। এমনকী ঝাড়খণ্ডে ঠান্ডা পড়ে গিয়েছে ভালোই। তার প্রভাবেই পশ্চিমাঞ্চলে ক্রমশ কমছে পারদ। উত্তরবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি। দার্জিলিং (১০.৬ দিগ্রি) বা কালিম্পংয়ে (১৩ ডিগ্রি) উচ্চতার প্রভাবে ঠান্ডা পড়লেও এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব একটা নামেনি শিলিগুড়ি (১৯.৬ ডিগ্রি) জলপাইগুড়ি (২০.৬ ডিগ্রি) এবং কোচবিহারে (১৯.৬ ডিগ্রি)।