অবসর নিলেও পেনশন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। এই অভিযোগে সরগরম ছিল রাজ্য। জানা গিয়েছে, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে আটকে রয়েছে পাঁচ শতাংশ পেনশনের কাগজপত্র। উপযুক্ত প্রামাণ্য তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় নথি আটকে রয়েছে। এদিকে বাকি পেনশনের কাগজপত্র ডিপার্টমেন্ট অফ প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন অ্যান্ড গ্রুপ ইনস্যুরেন্সের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সরকার নতুন পেনশন নীতি চালু করবেন শিক্ষকদের জন্য। এদিকে সমস্যায় থাকা শিক্ষকদের বিষয়ে অর্থ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে আবেদনের ফাইলের ‘প্রোসেসিং’ চলছে।
জানা গিয়েছে, ডিআই অফিসের অনুমোদন নিয়ে শিক্ষকরা ডিরেক্টর অব পেনশন পিএফ অ্যান্ড গ্রুপ ইনসিওরেন্সের অফিসে সব নথি জমা দিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, পেনশনের পাশাপাশি শিক্ষকদের গ্র্যারচুয়িটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
বিগত ছয় মাসে যে শিক্ষকরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি পেনশনের টাকা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের উদ্যেশ্যে এবার ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্য নতুন নীতি চালু করবে। তবে সে কথা বললেও ফের কবে পেনশন চালু হতে পারে, সেই নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানান হয় নি।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সাল থেকে রাজ্যে শুরু হয় শিক্ষকদের পেনশন। গত ছয় মাস ধরে রাজ্যে অবসর নেওয়া শিক্ষকরা পাচ্ছেন না কোনও অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা। অবসর নিয়ে রাজ্যে প্রায় ৬ হাজার শিক্ষক এখন পেনশনের অপেক্ষায় ।