রাজ্য

খুলে গেল চা–বাগান, খুশি কর্মীরা

ঘরে বসে থাকলে কে খাওয়াবে। কাজ না করলে ভাত জোটানো অসম্ভব। পাহাড়ের চা–বাগানগুলির কর্মীদের ভাবনা এমনই। কারণ এই লকডাউনের জেরে যদি চা–বাগানগুলি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সমূহ ক্ষতি। এই পরিস্থিতির কথা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েই মঙ্গলবার থেকে পাহাড়ের বেশির ভাগ চা–বাগানই খুলে গেল।
দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা সন্দীপ মুখোপাধ্যায় জানান, ৭০% চা–বাগান খুলে গিয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বাগানও খুলে যাবে। তবে প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশ মেনে বাগান স্যানিটাইজ করে সামাজিক দূরত্ব রেখেই শ্রমিকদের কাজ করতে বলা হয়েছে। যদি চা–গাছের পরিচর্যা করা না হয়, তবে বাগান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন ধীরে ধীরে বাগানে কাজ শুরু করতে।
৮৭টি চা–বাগানের সব খুলতে অনেকটাই দেরি হবে। লকডাউনের কথা মাথায় রেখে শ্রমিকদের যাতে মজুরির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আবেদন করেছেন মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং। সামাজিক দূরত্ব রেখে বাগানের শ্রমিকদের কাজ করা নিয়েও মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে মোর্চা। ঘরে বসে ৪–‌৫ জনে মিলে দূরত্ব রেখে কাজ এবং মাস্ক বিতরণেও জোর দিতে বলা হবে।