এক মাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার ধর্মঘটে গেল ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কারস অ্যাসোসিয়েশন। মৌড়িগ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তেল তোলা। রিফিলিংও বন্ধ। ফলে কলকাতা তো বটেই, সংলগ্ন জেলাগুলিতেও বিঘ্ন ঘটে তেল সরবরাহে। আর তাই আরও একবার জ্বালানি সঙ্কটের বলয়ে ঢুকে পড়েছে মহানগরী। তার মধ্যে ৩১ আগস্ট পাম্প মালিকদের ধর্মঘটের ডাকও রয়েছে। অবশ্য ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।
চলতি মাসের ৫ তারিখ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কারস অ্যাসোসিয়েশন কয়েক দফা দাবির ভিত্তিতে ধর্মঘটে নামে। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের নতুন টেন্ডারের শর্ত, ট্যাঙ্কার মালিকদের ৩১ আগস্টের মধ্যে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে হবে। ট্যাঙ্কার মালিকরা জানান, নতুন টেন্ডারে স্থানীয় পর্যায়ে ট্যাঙ্কার পরিবহণের খরচ ২ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ১০০ টাকা করা হচ্ছে।
মৌড়িগ্রাম ডিপোয় ট্যাঙ্কারের সংখ্যা ১৯৬ থেকে কমিয়ে ১৩৬টিতে নামিয়ে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে শুরু হয় লাগাতার আন্দোলন। পরে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে অ্যাসোসিয়েশন। এবার শুরু হল দ্বিতীয় দফায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। অর্থাৎ, মৌড়িগ্রাম থেকে যে ট্যাঙ্কারগুলি কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়ার একাংশে তেল সরবরাহ করে, তারা ধর্মঘটে যাওয়ায় তেল সঙ্কট শুরু হবে। ড্রাই হয়ে যাবে ইন্ডিয়ান অয়েল ও এইচপি’র পাম্পগুলি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নতুন চুক্তি অনুযায়ী মৌড়িগ্রাম থেকে রিটেল আউটলেটের সংখ্যা এক ধাক্কায় ১১টি কমিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। তাদের সরানো হয়েছে দুর্গাপুরের রাজবাঁধ এবং হলদিয়াতে। ফলে আমাদের ব্যবসা মার খাবে। শেষ হয়ে যাবে বহু চালক ও খালাসির রুটি-রুজি।’
ইন্ডিয়ান অয়েলের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘যে আউটলেট রাজবাঁধ ও হলদিয়ার কাছে, সেগুলি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পরে সেগুলি আবার যুক্ত হতেই পারে মৌড়িগ্রামে। ট্যাঙ্কারের সংখ্যা কমানোর পিছনেও কারণ আছে। গাড়ি প্রতি আয় বাড়বে এতে। তবে আমরা আলোচনার পথ খোলা রাখছি। মৌড়িগ্রাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা অন্য ডিপো থেকে সরবরাহ করব।’