দফায় দফায় বৈঠকের পরও রফাসূত্র মেলেনি। এখনও ধর্মঘটে অনড় ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশন। অচলাবস্থা কাটাতে শুক্রবার ট্যাঙ্কার মালিকদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেছিল ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সেই বৈঠক থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরয়নি। ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা এবং নদীয়া জেলায়। আজ, শনিবার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে চলেছে। কারণ একের পর এক পাম্প তেলশূন্য বা ‘ড্রাই’ হয়েছে শুক্রবারই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, ‘তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে পাম্পগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের সংগঠনের প্রায় ২৫ শতাংশ পাম্প ড্রাই হয়ে গিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, শনিবারের মধ্যে আমাদের সবক’টি পাম্পেরই এই অবস্থা হবে।’ ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বারবার আলোচনাতেও কোনও সমাধান হয়নি। কিন্তু, নিজেদের দাবিতে আমরা অনড় থাকছি।’
পরিবহণ খরচ কমিয়ে দেওয়া এবং বেশ কিছু চুক্তিভুক্ত গাড়িকে বসিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বহু ট্যাঙ্কার হাওড়ার মৌড়িগ্রামে ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপোতে তেল ভরার কাজ বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি, গত বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েল যে টেন্ডার ডাকে, তাতে গাড়ির পরিবহণ খরচ অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌড়িগ্রামের ডিপো থেকে কলকাতা, হাওড়া ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ইন্ডিয়ান অয়েল এবং হিন্দুস্তান পেট্রলিয়ামের পাম্পে তেল পৌঁছয়। আজ, শনিবার থেকে ধর্মঘটের প্রভাব আরও বাড়তে চলেছে। শুক্রবার কলকাতা সহ আশপাশের এলাকায় বহু পাম্পে তেলের জন্য রীতিমতো হাহাকার পড়ে যায়। তেলের জন্য অনেককেই একাধিক পাম্পে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। মানুষের আশঙ্কা, এর প্রভাব গণপরিবহণে পড়বে না তো!