তালিবান দখল নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের শুধুই আতঙ্কের ছবি চোখে পড়েছে। বহু আফগান প্রাণভয়ে ছুটে গিয়েছেন বিমানবন্দরের দিকে, এমনকী নিজের সন্তানকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতেও পিছপা হননি তাঁরা। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে তালিবানের দাবি, এমন কোনও হিট লিস্ট নেই তাদের হাতে। কাউকে কোনও শাস্তিও দিচ্ছে না তারা। টুইট করে জানিয়েছেন তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন।
আজ একটি টুইটে এই মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তানে কারও বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দরজায় দরজায় হানা দেওয়ার অভিযোগও সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তালিবান। শুধু আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ গড়াই তাদের কাছে মূল মন্ত্র।
আগেই এই মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, কেউ দেশ ছেড়ে যাক, চায় না তালিবানরা। কিন্তু কেউ যদি থাকতে না চায়, সে ক্ষেত্রে জোর করাও হবে না। এমনকী, আফগান নাগরিকদেরও জোর করে রাখা হবে না। সম্প্রতি একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন। তিনি আফগান নাগরিকদের আবেদন জানিয়েছেন দেশের মাটি ছেড়ে না যেতে।
মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক নতুন ফতেয়া জারি করে তালিবান। মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশীদের বিমানবন্দরে যেতে দেওয়া হলেও আফগানবাসীদের ওই রাস্তা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, বিমানবন্দরেও যেতে দেওয়া হবে না।’
অন্যদিকে, মহিলারা কাজ করতে পারবেন বলে তালিবান প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিলেও আপাতত কাজে যোগ দিতে নিষেধ করেছে তালিবান। যদিও তাদের সাফাই, মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে তারা চিন্তিত। সুষ্ঠ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠন না হওয়া অবধি কর্মরত মহিলারা যেন বাড়িতেই থাকেন।