শেষমেশ তালিবানের কবজায় এলো গোটা আফগানিস্তান। কুড়ি বছর পর ফের মসনদে ফিরল তারা। রবিবারই কাবুলের দরজায় তালিবান উপস্থিত হওয়ার পরেই বোঝা গিয়েছিল অপেক্ষা আর সামান্যই। তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়ে দেন, জনবহুল কাবুলে যুদ্ধ করতে চায় না তালিবান। আলোচনার মাধ্যমেই আফগান সরকারের থেকে ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তারা। আর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি ইস্তফা দেন। আফগানিস্তানে তালিবান শাসনের নয়া অধ্যায়ের সূচনা হয়।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আলি আহমেদ জালালি। এখনই আফগানিস্তানের বিভিন্ন জেলে বন্দি তালিবানদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের ঢল। প্রেসিডেন্ট ভবন ঘিরে ফেলেছে তালিবান সেনা। দ্রুত সরানো হচ্ছে আফগানিস্তানে থাকা ভারতীয়দের। এয়ার ইন্ডিয়া বিমান কাবুল ছেড়েছে বিকেলেই। নয়াদিল্লির মাটিতে অবতরণ করতে পারে।
তালিবানের দখলদারির দাপটে শীঘ্রই যে কাবুলে উড়তে চলেছে জঙ্গিদের পতাকা তা নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। দেশের স্বার্থে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল আফগান সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কার্যত অসহায় আফগানিস্তানের প্রশাসন। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি। তিনি আক্ষেপের সুরে জানান, গত ২০ বছরে যা যা ফিরে পাওয়া গিয়েছিল, তা সবই আবার হারিয়ে গেল।