India deploys T-90 Bhishma tanks in East Ladakh. And the experts think that the war has started. In ground warfare this tank is still considered to be the most powerful tank in the world. The fear is that China could take the provocative situation to a worse place.
দেশ লিড নিউজ

লাদাখে যুদ্ধ–ট্যাঙ্ক মোতায়েন করল ভারত, টানটান উত্তেজনা

মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়নি। ১১ ঘন্টা বৈঠক চললেও সেটা যে আপাত শান্তি বজায় রাখার প্রয়াস তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। দু’‌দেশের মধ্যে বৈঠকে এলাকা থেকে সেনা সরানোর ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দুই শিবির। কিন্তু শেষপর্যন্ত চিন তা মানবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই আগাম পদক্ষেপ করে রাখল ভারত। চিন–ভারত সম্পর্ক যে মোটেই স্বাভাবিক হয়নি তা বোঝা গিয়েছে চিনের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ায়। ফলে সবমিলিয়ে অস্থির পরিস্থিতি অব্যাহত।
এই পরিস্থিতিতে পূর্ব লাদাখে টি–৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক মোতায়েন করল ভারত। আর তাতে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থলযুদ্ধে এই ট্যাঙ্ককে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাঙ্ক বলে মনে করা হয়। আশঙ্কা চিন উত্তেজক পরিস্থিতি আরও খারাপ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। গলওয়ানে ২০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর চিনের আগ্রাসনের জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার।
সূত্রের খবর, মে মাস থেকেই সীমান্তে যুদ্ধ সরঞ্জাম জড়ো করছিল চিন। ভারত বারবারই বলে আসছিল, এলএসি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতে একটি রানওয়ে তৈরি করছে চিন। সেখানে ফাইটার জেটও মোতায়েন করেছে। এবার তার পরিবর্তেই টি–৯০ যুদ্ধ–ট্যাঙ্ক প্রস্তুত করল ভারত। যা সীমান্তে চিনের কাছে আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের হাতে রয়েছে টি–৯৫ ট্যাঙ্ক। এই ট্যাঙ্কের ক্ষমতা প্রায় টি–৯০ ট্যাঙ্কের মতোই।
ভারতের প্রধান ব্যাটল ট্যাঙ্ক এটি। কী বৈশিষ্ট্য এই টি–৯০ যুদ্ধ ট্যাঙ্কের?‌ জানা গিয়েছে, রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র প্রতিরোধী এই ট্যাঙ্ক মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৮টি শেল ফায়ার করতে পারে। তবে এই ট্যাঙ্কের প্রধান কামানের মাপ ১২৫ এমএম। যা ৬ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত মিসাইল ছুঁড়তে পারে। রাত–দিন লড়াই করতে পারে। ১০০০ হর্স পাওয়ার ইঞ্জিন রয়েছে এই ট্যাঙ্কে এবং মিসাইল প্রতিরোধ করতে পারে। ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে সক্ষম এই ট্যাঙ্ক। এমনকী টানা ৫৫০ কিলোমিটার চলতে পারে। মনে করা হয় দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী ট্যাঙ্ক এটি। চিনের তুলনায় ভারতের হাতে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বেশি রয়েছে। ভারতের কাছে রয়েছে ৪২৯২টি ট্যাঙ্ক। চিনের ট্যাঙ্ক সংখ্যা ৩৫০০।