রাজ্য লিড নিউজ

Swapnadip Death Incident : যাদবপুরে একাধিক প্রশ্নের সদুত্তর পেল না ইউজিসি প্রতিনিধি দল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। তদন্ত যতই এগোচ্ছে ততই যেন ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের পর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করেছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। সেই রিপোর্টেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ছাত্রকে পুরোপুরি বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি হস্টেলে থাকা ২৫ জন প্রাক্তনীকেও হস্টেল ছাড়তে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সমস্ত বয়ানের ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয়েছে। এমনকী লিখিতভাবেও উত্তর জমা নেওয়া হয়েছে। এই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক সুপারিশ করেছে কমিটি। এছাড়া যে সমস্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে কমিটির তরফে। এর পাশাপাশি র‍্যাগিং -এ অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন ছাত্রকে সেমিস্টারের জন্য সাসপেন্ড করার কথাও বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

ইতিমধ্যেই পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যে ইউজিসির অনেক নিয়মই মানেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ১৩ আগস্ট যাবতীয় রিপোর্ট চেয়েছিল ইউজিসি। ১৪ আগস্ট সেই রিপোর্ট পাঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই রিপোর্টে ‘সন্তুষ্ট’ হয়নি ইউজিসি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের যে প্রতিনিধি দলের আসার কথা ছিল, তা আসছে না। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফের ১২টি প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠানো হয়। পরে সেই রিপোর্ট তথ্য সহ পাঠানো হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট দেখেও অসন্তোষ প্রকাশ করে ইউজিসি। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর এই প্রথম ইউজিসি কোনও টিম পাঠাল যাদবপুরে।

জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইউজিসির চার প্রতিনিধি কথা বলেন। যাদবপুরের মেন হস্টেলে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) গুচ্ছ প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউজিসি-র চার সদস্যের প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার সকালে ওই হস্টেলে যায়। তবে ইউজিসি-র বেশ কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় কর্তৃপক্ষকে। যার অধিকাংশেরই সদুত্তর মেলেনি বলে ইউজিসি সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, এ দিন বিকেলে আবার ISRO-র কয়েক জন বিজ্ঞানী যাদবপুর ক্যাম্পাসে যান। তাঁরা ক্যাম্পাস ও গেটগুলো ঘুরে দেখেন। কী ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা যায়, তা নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।