রাজ্য

ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত

রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁর ইস্তফাপত্র পেয়েছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। বিষয়টির সঙ্গে অবহিত এক ব্যক্তি বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন। উনি যদি ইস্তফা না দিতেন, তাহলে রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যেত।’ তুমুল বিতর্কের পর রাজ্যসভার সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দিলেন এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত।
রবিবার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। দেখা যায় হুগলির তারকেশ্বর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন স্বপনবাবু। তাঁর রাজ্যসভার সাংসদপদ নিয়ে তুমুল বিতর্ক বাঁধে। সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য এভাবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেন, ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল লঙ্ঘন করেছেন স্বপনবাবু। সেজন্য স্বপনের রাজ্যসভা সদস্যপদ খারিজের দাবি জানান মহুয়া। তারপর আসরে নামে কংগ্রেসও।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র একটি টুইটে স্বপনের সাংসদপদ বাতিলের দাবি তুলেছিলেন। তিনি লেখেন, বাংলার নির্বাচনে স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপি প্রার্থী। সংবিধানের দশম তফসিলে বলা রয়েছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য শপথগ্রহণ করার ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তা হলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে কংগ্রেসের মুখ্য উইপ জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‌মনোনয়নের ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যসভার যে মনোনীত সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন না এবং কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি না হয়েই (সংসদের উচ্চকক্ষের) সদস্য আছেন, তিনি কি ইস্তফা না দিয়ে কোনও লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন? গত কয়েকদিনে এরকম কোনও ইস্তফার কথা আপনি ঘোষণা করেননি। আমার আর কিছু বলার নেই।’‌
স্বপনের ইস্তফার খবর ট্যাগ করে মহুয়া এদিন টুইটারে লিখেছেন, স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ স্যার। আমরা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আপনাকে শুভ কামনা জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের এপ্রিলে স্বপনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী, সংবিধানের ৯৯ ধারা বা ১৮৮ ধারা মেনে শপথগ্রহণের ছ’মাসের পর কোনও মনোনীত সদস্য যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। সংবিধানের ৯৯ ধারা এবং ১৮৮ ধারা আইনপ্রণেতার শপথগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।