আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১২০ তম প্রয়াণ দিবস। ১৯০২ সালের ৪ জুলাই আজকের দিনেই মৃত্যু হয় স্বামী বিবেকানন্দের। তাঁর নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হলেও চিরকালই মানুষের মনে থাকবে তাঁর অমর বাণী।
১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেনস্বামী বিবেকানন্দ। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিষ্ঠা করেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনিই প্রথম দর্শন এবং যোগচর্চার মাহাত্ম্য পাশ্চাত্য দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছিলেন। হিন্দু ধর্মের প্রচারক হলেও সাম্প্রদায়িকতা ও গোড়ামির বিরুদ্ধে ছিলেন স্বামীজী। তাঁর ধর্ম বিশ্বাসের ভিত্তি মূলে ছিল জীব প্রেম। তাঁর ধর্ম বিশ্বাস জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং দার্শনিক বিচারে আলোকিত ও প্রজ্ঞাময়। স্বামী বিবেকানন্দের অনুভূতিতে হিন্দু ধর্ম অন্য ধর্মের তুলনায় শ্রেষ্ঠ এমন কথা কোনওদিন বলেননি। জাতিভেদ, বর্ণভেদ, ধর্মভেদের বিরোধিতাই করে গেছেন। দেখে নেওয়া যাক, তাঁর কিছু প্রেরণামূলক বাণী:
- ”কিছু প্রার্থনা কোরো না বা এড়িয়ে যেও না। যা এসেছে তাকেই গ্রহণ কর।”
- “কারও নিন্দা কোরো না। যদি কাউকে সাহায্য করার ক্ষমতা থাকে, তবে কর। যদি না পার, হাতজোড় কর, আশীর্বাদ কর, সকলকে নিজেদের পথ খুঁজে নিতে দাও।”
- “পাল্টা কখনও কিছু চেও না। তোমার যা আছে দাও। তা তোমার কাছে ফিরে আসবে কিন্তু এখনই তার কথা ভেব না।”
- “যে আগুন আমাদের উষ্ণতা দেয়, তাই আমাদের গ্রাস করে। এটা আগুনের দোষ নয়।”
- “তোমাকে অন্তঃস্থল থেকে বড় হতে হবে। কেউ কিছু শেখাতে পারে না, কেউ তোমাকে আধ্যাত্মিক করে তুলতে পারবে না। নিজের আত্মার থেকে বড় আর শিক্ষক নেই।
আত্মার পক্ষে কোনও কিছু অসম্ভব নয়। যে তা মনে করে সে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মবিরোধী।” - “পৃথিবীতে পাপ বলে যদি কিছু থাকে, তবে আসল পাপ হল দুর্বলতা, নিজেকে বা অন্যকে দুর্বল ভাবা।”