লিড নিউজ

বুধবার মোদীর সাক্ষাতে শুভেন্দু

বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়ছে শুভেন্দু অধিকারীর। এখন কেন্দ্রীয় স্তরেও ওজনদার হচ্ছেন অধিকারী পরিবারের এই সদস্য। একুশের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে মোদী–শাহদের নন্দীগ্রাম উপহার দিয়েছেন তিনি। যাঁকে তুরুপের তাস করে লাভবানই হয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি একক বৈঠক করছেন তিনি। মঙ্গলবার অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
এখন সংগঠক হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা নজরকাড়া। তৃণমূলে থাকার সময়, দল যেখানেই নড়বড়ে হয়েছে সেখানেই দলনেত্রী ভরসার সৈনিক হয়েছেন শুভেন্দু। তবে সময়ের সঙ্গে সে সমীকরণে বদল হয়েছে। সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু। এই বিজেপিতেও তাঁর উত্থানপর্ব বেশ গতিময়।
আজ শুভেন্দু যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর গলায় ছিল আত্মবিশ্বাস। এখন তিনি পরিষদীয় নেতা। বিধানসভায় বিজেপির প্রধান মুখ তিনি। বিজেপি যেহেতু সর্বভারতীয় দল, তাই যে কোনও পদে সিলমোহরও পড়ে দিল্লি থেকেই। মোদী-শাহ-নাড্ডারা চেয়েছেন বলেই দলের দীর্ঘদিনের নেতাদের পিছনে ফেলে শুভেন্দুই এই রাজ্যে বিজেপির প্রধান মুখ হয়ে উঠেছে।
দু’দিনের সফরে সোমবারই দিল্লিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। বিকেলে জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ-পর্ব। তারপর ধর্মেন্দ্র প্রধান–সহ আরও অনেকে। বুধবার বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। শুভেন্দু জানান, তিনি সাক্ষাৎ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে নরেন্দ্র কাছে সময় চেয়েছিলেন। তাতে সম্মতি মিলেছে।
এই সাক্ষাতে সম্ভাব্য আলোচনা হতে পারে, পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। একইসঙ্গে বাংলায় বিরোধী শক্তি হিসাবে বিজেপির ভূমিকা কীরকম হবে, তা নিয়েও। রাজ্যের কোন কোন ইস্যু নিয়ে জাতীয় স্তরে তুলে ধরা যায় তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ইতিমধ্যেই এই বিষয়গুলি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।